ইসলামে পর্দা প্রথা নারী সমাজের জন্য অবরোধ নয়,শান্তি।
লিখেছেন লিখেছেন রাফসান ২৬ আগস্ট, ২০১৩, ০৫:০৩:৪৩ বিকাল
ইসলামে পর্দা প্রথা নারী সমাজের জন্য অবরোধ নয়,শান্তি।বরং নারীর নারীত্ব ও সতীত্ব সংরক্ষক ও মান সম্ভ্রমের হেফাজত ব্যাবস্থার নাম পর্দা প্রথা।
কামুক লম্পট ও গুন্ডা বদমায়েশদের লোলুপ দৃষ্টি থেকে নারীর সৌন্দর্য রক্ষার নাম পর্দা।অবাধ যৈনাচার ও ব্যাবিচারের মারাত্মক পরিণতি থেকে সমাজকে রক্ষার নাম পর্দা।ইসলাম নারীকে তার কোন অধিকার থেকে বঞ্চিত করেনি।ইসলাম নারীকে যতটুকু অধিকার ও মর্যাদা দিয়েছে এর চেয়ে বেশি আর কেউ দেয়নি,এমনকি কোন কালে দিতে পারবেও না। এই প্রগতি বাদীদের যদি সামান্য ও বিবেক বুদ্ধি থাকত তাহলে তারা বুঝতে পারত যে, বিবেক বুদ্ধির বিচারে এবং বৈঙ্গানিক দৃষ্টিতে দেখলে দেখা যায় যে নারীর পবিত্র কার্যকারিতা ও সৌন্দর্যতায় পর্দা নারীর দায়ীত্ব,তার লজ্জা।নারীর মর্যাদা তার আচরণে। যেমন হীরা-জহরত ও মণি মুক্তাকে ঘরের নিভৃত কোণে বিশিষ্ট প্রকোষ্টে সুন্দর আবরণের মাঝে রাখা হয়,
লোহা তামার ন্যায় উম্মুক্ত স্থানে রাখা হয়না। কারণ যার যেমন মুল্য তার তেমন রক্ষা ব্যাবস্থা বেশি।
সুন্দরতা ও মর্যাদাকে রক্ষা করতে হলে সাবধানতার প্রয়োজন। অসাবধানতা যেমন সৌন্দর্যতাকে বিনষ্ট করে তেমনি নারীর পর্দাহীনতা তার মুল্য,রুপকে নষ্ট করে। তাই নারীকে মুল্য দেওয়া হয়েছে বলেই তাকে পর্দার হেফাজতে রাখা হয়েছে।
বিঙ্গান বলে-মানুষ ও জীবজন্তু মাত্রই এক ধরনের কীট কর্তৃক আক্রান্ত হয়। যা দেহাভ্যন্তরে ধীরে ধীরে ও সংগোপনে কাজ করে মানসিক অশান্তি দুর্বলতা অস্থিরতা পঙ্গুত্ব ভয় ভীতি এসব কীটেরই ক্রিয়া।
আর এগুলার সৃষ্টি হয় দর্শন থেকে। যখন কোন নারী বা পুরুষ একে অন্যের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তখন দু'জনের দেহে যে বিদ্যুত সৃষ্টি হয় তা মস্তিষ্কের কোষ সমুহে মৃদু আঘাত করে। ফলে স্বভাবতই একের প্রতি অন্যের আকর্ষণ আসে। আর এ আকর্ষণ থেকে কুচিন্তার সৃষ্টি হয়।
বিষয়: বিবিধ
১৭২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন